রোজ মাউথওয়াশ ব্যবহার করার আদৌ কোনও প্রয়োজন আছে কি?

মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য দৈনিক অন্তত দু’বার ব্রাশ করা খুব জরুরি। সেই সঙ্গে দেখতে হবে দাঁতের ফাঁকে যেন কোনও খাবারের টুকরো না আটকে রয়ে যায়। সেটা সুনিশ্চিত করার জন্য আপনাকে ডেন্টাল ফ্লসের সাহায্য নিতে হবে এবং দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবার নিয়ম করে পরিষ্কার করতে হবে। এই দু’টি নিয়ম মোটামুটি মেনে চলতে পারলে আপনার মুখগহ্বর, মাড়ি আর দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো থাকার কথা।

সেক্ষেত্রে নিয়ম করে মাউথওয়াশ ব্যবহার না করলেও চলে। যদি দতে বা মাড়িতে শিরশিরানি, রক্ত পড়া বা মুখে দুর্গন্ধের মতো সমস্যা হয়, তা হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন এবং তিনি বললে মাউথওয়াশও ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু তেমন কোনও প্রয়োজন না থাকলে কেবল বিজ্ঞাপনী প্রচারে মুগ্ধ হয়ে ঝকঝকে সাদা দাঁতের মালিক হওয়ার জন্য যাঁরা রোজ মাউথওয়াশ ব্যবহার করছেন, তাঁরা কয়েকটি বিষয় জেনে রাখুন।

অপ্রয়োজনে কি আপনি অ্যান্টিবায়োটিক খান? যদি উত্তর না হয়, তা হলে সেই একই কারণে অহেতুক মাউথওয়াশ ব্যবহার করারও কোনও প্রয়োজন নেই। আমাদের মুখে, পাকস্থলীতে এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা হজমের প্রক্রিয়াটিকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে। বারংবার অপ্রয়োজনে মাউথওয়াশ ব্যবহার করলে সে ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যটাই নষ্ট হয়ে যায়। তাতে আপনার মুখে ও পাচনতন্ত্রে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

মুখের দুর্গন্ধ থেকে বোঝা যায় যে আপনার দাঁতে বা মাড়িতে কোনও সমস্যা আছে। মাউথওয়াশ ব্যবহার করে সেই গন্ধটাকে ঢেকে রাখার চেষ্টা করলে কিন্তু আসল সমস্যাটা ধরা পড়তেই অনেক দেরি হয়ে যাবে, তাতে আখেরে আপনারই ক্ষতি হবে।

বাড়িতে কি মাউথওয়াশ তৈরি করা সম্ভব?

দোকান থেকে কেনা মাউথওয়াশের মতো অনুভূতি হয়তো পাবেন না, কিন্তু এক কাপ জলে দেড় ইঞ্চিমাপের দারচিনি 10 মিনিটের জন্য ফুটিয়ে ছেঁকে ঠান্ডা করে কাচের বোতলে ভরে রাখতে পারেন। এইভাবে এক গোছা পুদিনাপাতাও জলে ফুটিয়ে নিয়ে ঠান্ডা করে রেখে মাউথওয়াশের মতো ব্যবহার করতে পারেন।

Leave a Reply