ইমপ্লান্টের সুবিধা

ইমপ্লান্ট দেখতে এবং ব্যবহার করতে আসল দাঁতের মতোই। দাঁত যেভাবে মাঢ়ির হাড়ের সঙ্গে শিকড়ের মাধ্যমে লাগানো থাকে, ইমপ্লান্টও একইভাবে বসানো হয়।

অনেকেই ডেনচার (নকল দাঁত) ব্যবহারের কারণে কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করেন। অনেক ক্ষেত্রে উচ্চারণও যথাযথ হয় না। ইমপ্লান্টে এ ধরনের কোনো অসুবিধা হয় না। বাড়তি দাঁত লাগানো হয়েছে_এমন অস্বস্তিও লাগে না। * নকল দাঁত ব্যবহারে অনেকেরই খেতে অসুবিধা হয়। কিন্তু ইমপ্লান্টের ক্ষেত্রে তা হয় না। পাশের দাঁতগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে না।

ইমপ্লান্ট স্থায়ী পদ্ধতি। তাই বারবার বদলানোর প্রয়োজন হয় না। সাধারণত সারা জীবনই ব্যবহার করা যায়।প্রয়োজন হলে সুস্থ প্রতিটি মানুষের মুখেই ইমপ্লান্ট বসানো যায়। মাঢ়ির সুস্থতা এবং চোয়ালের হাড়ের সঠিক পুরুত্ব থাকলে ইমপ্লান্ট সফল হয় বেশি। তবে যাঁরা মুখ ও দাঁত ঠিকমতো পরিষ্কার রাখেন না, যাঁদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস (ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলে ইমপ্লান্ট করতে বাধা নেই) ও হার্টের অসুখ আছে, কিংবা যাঁরা ক্যান্সারের জন্য রেডিওথেরাপি (মুখ, ঘাড় ও চোয়ালের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে) নিচ্ছেন, যাঁরা চেইন স্মোকার, তাঁদের ইমপ্লান্ট না করাই ভালো।

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ থেকে কিছু সচরাচর জিজ্ঞাসা ও উত্তর

অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় এ পদ্ধতির বিশেষত্ব কী?

বিশেষত্বের মধ্যে যেহেতু এটা সর্বাধুনিক পদ্ধতি, খুব দক্ষ না হলে এটি করা ঝুঁকিপূর্ণ। আর রোগীদের ক্ষেত্রে  সাধারণ মানুষ অনেক সময় দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকে যে কোন পদ্ধতিটা সঠিক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আগে যদি পেটের কোনো অস্ত্রোপচার করা হতো, পুরো পেট কাটা হতো। এখন করা হয়  কেবল ড্রিল করে। তেমনি দাঁতের ক্ষেত্রেও এ রকম নতুন পদ্ধতি এসেছে। কাটাকাটি যত কম করা যায় এ রকমভাবে। সুতরাং একটি দাঁত নেই, এর জন্য আপনে পাশের আরো ভালো দুটো দাঁতকে ত্যাগ করলে, এটা আধুনিক বিজ্ঞান সম্মতি দেয় না। এই জন্য ইমপ্ল্যান্টকে এখন সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য করা হয়। বিশ্বে ও আমাদের দেশেও এই চিকিৎসা পদ্ধতি শুরু হয়েছে।

Leave a Reply